Kesh Family: তৃণমূলের প্রতি বিতশ্রদ্ধ আউশগ্রামের কেশ পরিবারের সদস্য ভাঙলেন শহিদবেদী
প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়বাম আমলে কেশবাড়ি গণহত্যার স্মরণে তৈরি হওয়া শহিদবেদী ভেঙে দিলেন শহিদ পরিবারেরই সদস্য অনন্ত কেশ। শুক্রবার কেশবাড়ি গণহত্যার দিনে এমন ঘটনা চাক্ষুষ করে কার্যতই হতবাক হয়ে যান পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বেলারি গ্রামের বাসিন্দারা । শহীদবেদী ভেঙে দিয়ে এদিন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই অনন্ত কেশ অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলেও তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েতে টেন্ডার ডাকায় কাটমানি ইস্যুতে উত্তপ্ত গলসিআউশগ্রামের বেলারি গ্রামের কেশ পরিবারের সদস্য কমলাকান্ত কেশ কংগ্রেস নেতা ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,১৯৮৫ সালের ২ জুলাই সিপিএমের দুস্কৃতিরা তৎকালীন কংগ্রেস নেতা কমলাকান্ত কেশের বাড়ি ঘেরাও করে। অভিযোগ সিপিএমের ওই দুস্কৃতীরা অনন্তবাবুর বাবা কমলাকান্ত কেশ এবং তাঁর দুই দাদা অশোক ও অসীম কেশকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন বাড়ির ছোট ছেলে অনন্ত কেশ। এই গণহত্যার স্মরণে পরবর্তীকালে বেলারি গ্রামে বিল্বগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনে তৈরি হয় একটি শহিদবেদী। তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর থেকে সেখানে প্রতি বছর ২ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শহীদস্মরণ আনুষ্ঠানের আয়োজন করা হত।নসেই শহিদবেদীই এদিন অনন্ত কেশ শাবল দিয়ে ভেঙে দেন।আরও পড়ুনঃ আধপোড়া-নগ্ন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার বর্ধমানে, তদন্তে পুলিশশহিদবেদী ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অনন্ত কেশ জানা, তাঁদের পাড়ায় সরকারি জায়গার ওপর থাকা নিকাশিনালাগুলি অবরোধ করে ঘর করেছে কয়েকজন। তার কারণে নালা সংস্কার করা যাচ্ছে না। অথচ এলাকার তৃণমূল নেতাদের মদতে জোর করে তাঁদের জায়গার ওপর দিয়ে নালা কেটে জলনিকাশি করা হচ্ছে। অনন্ত বাবু জানান, এইসব নিয়ে তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন বলে তাঁকে মারধরের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশকে জানিয়েও তিনি সুবিচার পাননি। অনন্ত কেশ আরও বলেন, বর্তমান শাসকদল একসময়ে তাঁদের অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু কোন প্রতিশ্রুতিই রাখেনি।তাহলে শুধু লোক দেখানো শহিদস্মরণ করেই বা কি লাভ , আর কেশ পরিবারের নিহতদের নামে শহিদবেদী করে রেখেই বা কি লাভ । তাই বিতশ্রদ্ধ হয়ে শহীদবেদী ভেঙে দিয়েছেন বলে অনন্ত কেশ এদিন মন্তব্য করেন । আরও পড়ুনঃ নতুন প্রভাতঅনন্ত কেশের তোলা অভিযোগ প্রসঙ্গে বিল্লগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ফাল্গুনী গোস্বামী বলেন, এদিনের এই ঘটনার নিন্দা করছি। দলের পক্ষ থেকে অনন্ত কেশকে পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছিল। দল কেশ পরিবারের সদস্যদের যথার্থ সম্মান দিয়েছে। অনন্ত কেশ মিথ্যা অভিযোগ করছেন। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডু বলেন, ঘটনার বিষয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। দেবু টুডু বলেন , প্রকৃত কি কারণে কেশ পরিবারের ওই সদস্য বিতশ্রদ্ধ তা জানি না । তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেস পরিবারকে সম্মান দিয়ে চলেছেন ।